Wednesday, April 22, 2015

এক লাইনের ১০০ টি বাস্তব কৌতুক

এক লাইনের ১০০ টি বাস্তব কৌতুক 

১. আপনার যথেষ্ট পরিমাণ টাকা আছে, শুধু এটা বোঝাতে পারলেই আপনি কোনো ব্যাংক থেকে টাকা ধার পেতে পারেন।
২. যদি তোমার মনে হয় যে তুমি বেঁচে আছ নাকি মরে গেছ, তা নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই, তাহলে এক-দুই মাস বাড়ি ভাড়া দেওয়ার কথা ভুলে গিয়ে দেখ।
৩. প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি হলেন তিনি, যাঁর বৃদ্ধি ওপর ও নিচ এ দুই প্রান্ত থেকে থেমে গেছে, কিন্তু পাশে বাড়ছে।
৪. হে প্রভু, আমাকে ধৈর্য দাও। এখনই দাও। এক্ষুনি।
৫. নির্বোধের সঙ্গে তর্কে যেয়ো না। সে তোমাকে নিজের পর্যায়ে নামিয়ে আনবে এবং নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে তোমাকে হারিয়ে দেবে।
৬. মানুষ মাত্রেরই ভুল হয় কিন্তু অফিস মাত্রই তা ক্ষমা করে না।
৭. আমি আমার দাদার মতো ঘুমের মধ্যে শান্তিতে মরতে চাই, তাঁর বাসের যাত্রীদের মতো চিত্কার করতে করতে নয়।
৮. শিশুর সংজ্ঞা হলো—যাদের জন্মের পর প্রথম দুই বছর চলে যায় হাঁটা আর কথা শেখায় এবং তার পরের ১৬ বছরই কেটে যায় তাদের মুখ বন্ধ রাখা আর স্থির হয়ে বসা শেখায়।
৯. কম্পিউটার অনেকটা মানুষের মতোই। মাত্র একটিই পার্থক্য—এটি নিজের দোষ অন্য কম্পিউটারের ঘাড়ে চাপাতে পারে না।
১০. একটি বই থেকে নিয়ে লিখলে সেটা হয় চুরি। আর কয়েকটা বই থেকে নিয়ে লিখলে সেটা হয় গবেষণা।
১১. ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত হয়ে পড়লেই কেবল আমরা উপসংহারে পৌঁছাই।
১২. কখনো কোনো পরিস্থিতিতেই ঘুমের ওষুধ আর জোলাপ একসঙ্গে খাবেন না।
১৩. সন্ধ্যার খবর শুরু করা হয় ‘শুভ সন্ধ্যা’ বলে। এরপর একে একে বলা হয় সন্ধ্যাটি কেন শুভ নয়।
১৪. যদি বলো আকাশে চার বিলিয়ন তারা আছে, তাহলে না গুনেই সবাই সেটা বিশ্বাস করবে। কিন্তু যদি বলা হয়, মাত্র রং করেছি, চেয়ারের রংটা এখনো শুকায়নি, তাহলে সবাই হাত দিয়ে দেখবে।
১৫. লক্ষ্যভেদ করতে চাইলে প্রথমে তীর ছোড়ো, তারপর যেটায় লাগে সেটাকেই লক্ষ্যবস্তু হিসেবে প্রচার করো।
১৬. সময় খুবই ভালো উপশমক, কিন্ত রূপসজ্জাকর হিসেবে খুবই খারাপ।
১৭. আতিথেয়তা এমন একটি গুণ, যার কারণে অতিথিরা ভাবে, যেন তারা নিজের বাড়িতেই আছে।
১৮. আমি কাজ খুব ভালোবাসি। কাজ আমাকে আকৃষ্ট করে। আর তাইতো আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে কাজের দিকে শুধু তাকিয়েই থাকি।
১৯. একজন সেলসম্যান হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি এমনভাবে আপনাকে নরকে যেতে বলবেন যে আপনি যাত্রার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করবেন।
২০. একটি কার্ডের লেখা: তুমি ছাড়া জীবনটা খুবই দুঃসহ। মনে হচ্ছে, তুমি এখনো আমার সঙ্গেই আছ।
২১. সব পুরুষই বোকা, আর আমি তাদের রাজাকে বিয়ে করেছি।
২২. মৃত্যু বংশানুক্রমিক একটা ব্যাপার।
২৩. পুরুষেরা কি ঘরের কাজে সাহায্য করে?
—করে। মেয়েরা যখন ঘর পরিষ্কার করে, তখন তারা পা তুলে বসে।
২৪. পৃথিবীতে দুই ধরনের মানুষ আছে—১. যারা গুনতে পারে। ২. যারা গুনতে পারে না।
২৫. মানুষ যতদিনে বুঝতে পারে যে তার বাবা ঠিক কথাই বলত, ততদিনে তার ছেলে বড় হয়ে তার ভুল ধরতে শুরু করে।
২৬. হে প্রভু, যদি আমার ওজন না-ই কমে, তাহলে আমার বন্ধুদের মোটা বানিয়ে দাও।
২৭. ‘সংক্ষেপকরণ’ শব্দটি নিজে এত লম্বা কেন?
২৮. অনেক ভালোবাস? তাহলে তাজা গোলাপ ২৪ ক্যারেট সোনার ভেতর সিলমোহর করে পাঠাও।
২৯. সেদিন একটি মেয়ে আমাকে ফোন করে বলল, ‘চলে এস, বাড়িতে কেউ নেই।’ তার দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে দেখি সেটি একটি পোড়োবাড়ি। সেখানে আসলেই কেউ থাকে না।
৩০. হাই! আমি ভাইরাস। আপনার মস্তিষ্কে ঢুকতে যাচ্ছি। ওয়েট! মস্তিষ্ক খুঁজছি…খুঁজছি…সরি, আপনার কোনো মস্তিষ্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমি চললাম। বাই!
৩১. বান্দরবান ঘুরে আসার পর এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে জিজ্ঞেস করল, কি রে, বান্দরবানে প্রাকৃতিক দৃশ্য কেমন দেখলি? জবাবে আরেক বন্ধু বলল, ‘আরে দূর, পাহাড়ের জন্য কিছুই দেখতে পারিনি।’
৩২. আলঝেইমার (কিছু মনে না থাকার রোগ) রোগ হওয়ার একটি সুবিধা আছে। রোজই আপনি নতুন নতুন বন্ধু পাবেন।
৩৩. যে লোক দুই কানে তুলা গুঁজে রাখে, তাকে কী বলা যায়?
—তাকে যা ইচ্ছা তাই বলা যায়।
৩৪. মনে করি, A হলো একটি সফল জীবন। A=x+y+z, এখানে x=কাজ, y=খেলা, z=মুখ বন্ধ রাখা।
৩৫. প্লেনে উঠে বিমানবালাকে বললাম, ‘আমার একটি ব্যাগ নিউইয়র্কে, একটি ব্যাগ লস অ্যাঞ্জেলেসে এবং আরেকটি মায়ামিতে পাঠিয়ে দিন।’ মহিলা বললেন, ‘অসম্ভব’। আমি বললাম, ‘গত সপ্তাহে আপনারা এ কাজটিই করেছেন।’
৩৬. ডাক্তার বললেন, আমি আর ছয় মাস বাঁচব। আগামী ছয় মাসে বিলের টাকা দিতে পারব না শুনে বললেন, ছয় মাস নয়, এক বছর বাঁচবেন।
৩৭. ডাক্তার বললেন, ‘আপনি ৬০ বছর বাঁচবেন।’ আমি বললাম, ‘এখনই আমার বয়স ৬০।’ ডাক্তার খুশি হয়ে বললেন, ‘বলেছিলাম না?’
৩৮. ভিখারি বলল, ‘সারা সপ্তাহ খাবারের স্বাদ পাইনি।’ উত্তর এল, ‘চিন্তা কোরো না, খাবারের স্বাদ এখনো আগের মতোই আছে।’
৩৯. ছেলে: বাবা, ইডিয়ট কাকে বলে?
বাবা: ইডিয়ট হলো সেই সব বোকা ব্যক্তি যারা নিজেদের বক্তব্য এত বেশি প্রলম্বিত করে যে কেউ তার কথা বুঝতে পারে না। বুঝতে পেরেছ?
ছেলে: না।
৪০. একজন এসে পুলিশকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমি কি এখানে গাড়িটা পার্ক করতে পারি?’
—না
—তাহলে এই গাড়িগুলো এখানে কেন?
—তারা কেউ এখানে গাড়ি পার্ক করতে পারবে কি না জিজ্ঞেস করেনি।
৪১. যে চিন্তাশক্তি দিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করা হয়, সেই একই চিন্তাশক্তি দিয়ে তা সমাধান করা যায় না।
৪২. আমি ৪৯ বছর ধরে একজন নারীকেই ভালোবাসছি। আমার স্ত্রী জানতে পারলে অবশ্য আমাকে খুন করবে।
৪৩. আমাদের বিয়েটা টিকে থাকার একটি রহস্য আছে। আমি আর আমার স্ত্রী সপ্তাহে দুই দিন রেস্টুরেন্টে গিয়ে ভালো খাবার খাই আর ওয়াইন পান করি। আমি সোমবারে যাই আর আমার স্ত্রী যায় মঙ্গলবারে।
৪৪. ব্রেকফাস্টের আগে যে জিনিস দুটো কখনোই খাওয়া সম্ভব নয়, সেগুলো হলো লাঞ্চ আর সাপার।
৪৫. তুমি একটা ইলেকট্রিক ব্লেন্ডার, একটা ইলেকট্রিক টোস্টার এবং একটা ইলেকট্রিক ব্রেড মেকার কিনে বললে, ‘ওফ! বাসায় এত জিনিস! আমি বসব কোথায়?’ পরদিন আমি একটা ইলেকট্রিক চেয়ার কিনে আনলাম।
৪৬. এক বিশালদেহী লোক আমাকে বলল, ‘আমি ১০ ডলার বাজি ধরে বলতে পারি যে তুই মারা গেছিস।’ আমি তার সঙ্গে বাজি ধরতে সাহস পেলাম না।
৪৭. হাতুড়ির সবচেয়ে নিরাপদ ব্যবহার হলো, পেরেকটা অন্য কাউকে ধরতে দেওয়া।
৪৮. আমি আমার স্ত্রীকে বললাম, ‘স্বামী হলো ওয়াইনের মতো, যত পুরোনো ততই ভালো।’ পরদিন সে আমাকে সেলারে আটকে রাখল।
৪৯. প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত সমালোচনা আছে।
৫০. বাড়ির কাজ না আনার সবচেয়ে খারাপ অজুহাত হলো—আমি দেখে লেখার মতো কাউকে পাইনি।
                                                                                                                               ( চলবে )

0 comments:

Post a Comment