Sunday, December 24, 2017

একজন মাসরাফি ও একটি পাঁচ কোটি টাকার গাড়ির গল্প!


মাসরাফি নামে বাংলাদেশের একজন ক্রিকেটার রয়েছেন। সত্যি বলতে গেলে কি তিনি খেলোয়াড়ের থেকে অধিনায়ক হিসেবেই বেশী পরিচিত!  আমরা সবাই জানি ক্রিকেট একটি দলীয় খেলা যেখানে দলের সবার পারফর্মেন্সের ওপর ভিত্তি করেই একটি দল ভালো ফলাফল লাভ করতে পারে। আর একটি দলকে যিনি একটি ছাতার নিচে একত্রিত রাখেন তিনিই হলেন দলের অধিনায়ক।

মেসির ফ্রি-কিকে রোনালদোর মুখে চরম আঘাত সমালোচনার ঝড়!


একদিকে ম্যাচে হেরে গেলেন আবার পেলেন মুখে আঘাত।  রোনালদোর এমন দু:স্বপ্নের দিনে মেসিকে নিয়ে চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চরম উত্তেজনা।  কেউ বলছেন মেসি ইচ্ছাকৃতভাবে রোনালদোকে আঘাত করেছেন।  কেউ বলছেন প্রতিশোধ।  এমন প্রেক্ষাপটে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে মেসি রোনালদো ভক্তদের মাঝে।

Saturday, December 23, 2017

মুভি রিভিউ: হালদা


বাংলাদেশি মুভি দেখতে গেলেই অন্যধরনের আবেগ কাজ করে। মুভিতে কোন ত্রুটি থাকলেও চোখে পড়ে না কিংবা মনে হয় এতটুকু করেছে সেটাই বা কম কী? কিন্তু তৌকীর আহমেদের মুভিতে সেটার প্রয়োজন হয় না। কীভাবে এরকম দারুন মুভি বানায় সে? হালদা সেই মুভির তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন। বলতেই হবে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেছি মুভিটি দেখে।

পে পার ডাউনলোড মাধ্যমে প্রতিদিন আয় করুন ২৫ থেকে ২৫০ ডলার… আমি আয় করছি আপনিও পারবেন

প্রাথমিক কথা

বন্ধুরা, আজকে আপনাদের কে এমন একটি অনলাইন আয়ের কথা বলবো যা থেকে খুব সহজেই তেমন কোনো পরিশ্রম ছাড়াই মোটামুটি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখানে তেমন কোনো পরিশ্রম করা লাগবে না। দরকার নেই কোনো বিষয়ে এক্সপার্ট হওয়ার। আপনি যদি ফেসবুকের মতো সাইটে ছবি আপলোড করতে পারেন তাহলেই আপনি এই সাইটের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। কীভাবে?

Friday, December 22, 2017

পাসপোর্ট তৈরির আদ্যোপান্ত

পাসপোর্ট তৈরির আদ্যোপান্ত
বিদেশ যেতে হলে প্রথমই যে বিষয়টি প্রয়োজন হয়, তা হলো পাসপোর্ট। ব্যবসা, চাকরি, ভ্রমণ, লেখাপড়া যে কারণেই হোক না কেন প্রতিদিন আমাদের বিদেশে পাড়ি জমাতে হচ্ছে। আসুন জেনে নিই কিভাবে তৈরী করতে হয় পাসপোর্ট-


পাসপোর্ট তিন ধরনের হয়ে থাকে-
১। আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট (সবার জন্য)
২। বিশেষ পাসপোর্ট (শুধু ভারতে ভ্রমণের জন্য)
৩। লাল পাসপোর্ট (শুধু কূটনৈতিকদের জন্য, যা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিয়ে থাকে)।

Wednesday, June 21, 2017

প্রেম !!!


বাগদাদে সালিহ নামে এক মুয়াজ্জিন ছিল। সে টানা চল্লিশ বছর আজান দিয়েছে। খুবই ধার্মিক হবার কারণে সবাই তাকে খুব পছন্দ করতো। একদিন সে মিনারে উঠে আজান দিতে যাচ্ছিলো। হঠাৎ করে এক সুন্দরী মেয়ের উপর তার নজর পড়ল। মেয়েটা ছিল খ্রিষ্টান আর তার বাসা মসজিদের পাশেই ছিল। সালিহ ফিতনায় পড়ে গেল।
.
সে মেয়েটার বাসার দরজায় ধাক্কা দিল। মেয়েটা দরজা খোলার সাথে সাথে তাকে জড়িয়ে ধরল। মেয়েটা হতভম্ব হয়ে বলল,
- “আপনাকে একজন ঈমানদার লোক হিসেবে জানি। এটা আপনার কেমন আচরণ?”
- “আমি ইসলাম আর মুহাম্মদ যা এনেছে তা থেকে মুক্ত।” সালিহ জবাব দিল। সে মেয়েটার আরো কাছে এগিয়ে গেল।
- “আপনি আসলে নিজের কামনা পুরো করার জন্য এমনটা বলছেন। একবার আমার স্বাদ পেলে ঠিকই আবার নিজের ধর্মে ফিরে যাবেন।”
-“ না! কখনোই যাব না।”
- “বিশ্বাস হয় না আমার। সত্যি বললে একটু শুকরের মাংস খেয়ে দেখান দেখি।”
- “এই যে খেলাম।”
- “আচ্ছা! একটু মদ খান তো দেখি।”
- “তাও খেলাম।”
.
মেয়েটা তারপর সালিহকে নিয়ে ভেতরে গেল, দরজা বন্ধ করে দিল। বলল; “আপনি ছাদে চলে যান। যাতে আব্বু এলে আমাকে আপনার সাথে বিয়ে দিতে পারেন।” লোকটা ছাদে উঠতে গেল। কিন্তু পা পিছলে পড়ে মারা গেল। মেয়েটা তাকে কাপড় দিয়ে মুড়ে বাক্সে ফেলে রাখল। বাবা এলে তাকে সব খুলে বলল। মেয়েটার বাবা সন্ধ্যাবেলা লাশটাকে রাস্তায় নিক্ষেপ করল। সবার মুখে মুখে গল্পটা ছড়িয়ে পড়ল। তার লাশ ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলা হল।[১]
.
ইবনুল কাইয়্যুম(রহ.) বলেন, “খ্রিষ্টানরা যখন কোনো বন্দীকে ধর্মান্তরিত করতে চাইত, তখন খুব সুন্দরী এক মেয়েকে দিয়ে তাকে আদর আপ্যায়ন করাতো। আর যখন লোকটা মেয়েটার প্রেমে পড়ে যেতো, তখন মেয়েটা বলতো; ‘আমাকে পেতে চাইলে তোমাকে খৃষ্টান হতে হবে।’ সে সময় যারা দৃঢ় ঈমানদার, আল্লাহ্ তাদের মুখ থেকে বলিষ্ঠ জবাব বের করতেন।”[২]
.
শয়তানের একটা বিখ্যাত উক্তি আছে, “নারীরা হচ্ছে আমার অব্যর্থ তীর।” সে তীরে অতীতে সালিহ, বারসিসার মতো বহু আবেদ প্রাণ দিয়েছে, ভবিষ্যতেও দিবে। সালিহ শুধু এক মেয়ের কথায় তার ধর্ম ত্যাগ করেছিলো, শুকরের মাংস খেয়েছিল, মদ পান করেছিল।
কিন্তু কেন?
প্রেমে পড়েছিল তাই ।
.
ইবনে তাইয়িমাহ(রহ.) বলেন, “যখন কেউ প্রেমে পড়ে তখন সে প্রেমিকাকে দেখে কিংবা তার কথা শুনে নিজেকে তৃপ্ত করতে চায়। সে তাকে ভালোবাসতে চায়- অনুভব করে, জড়িয়ে ধরে, চুমু খেয়ে কখনো বা মিলিত হয়ে।”[৩]
.
মানুষ প্রেমে কেন পড়ে?
সালাফরা বলতেন, “যখন অন্তরটা অসার হয়ে থাকে।”[৪]
ইবনুল কাইয়্যুম(রহ.) বলেন, “(দেহ যেমন অলস হয়ে পড়ে থাকে) অন্তর কখনো অলস থাকে না। আমাদের নফস আমাদেরকে হয় ভালো নতুবা খারাপ কাজে ব্যস্ত রাখে।"[৫]
.
শায়খ সালিহ আল মুনাজ্জিদ(হাফে.) ব্যাখ্যা করে বলেন, “কারো অন্তরে যদি আল্লাহ্র প্রতি তীব্র ভালোবাসা না থাকে, তবে সে অন্তর স্বাভাবিকভাবেই অন্য কারো প্রতি ভালোবাসা দ্বারা পূর্ণ হয়ে যায়। আমাদের নফস কখনো অলস থাকে না। আমরা যদি একে আল্লাহ্র আনুগত্যে ব্যস্ত না রাখি, তবে তা আমাদের আল্লাহ্র অবাধ্যতায় ব্যস্ত রাখবে।”[৬]
তিনি আরো বলেন, “কারো অন্তরে আল্লাহ্র প্রতি ভালোবাসা আর প্রেম একসাথে জায়গা নিতে পারে না।”[৭]
.
কিন্তু আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে। আল্লাহ্ই যদি এই তীব্র অনুভূতিগুলো আমাদের মধ্যে সৃষ্টি করে থাকেন যা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে, তবে আমরা দোষী হবো কেন?
.
ইবনুল কাইয়্যুম(রহ.) এর উত্তর দিয়েছেন। মানুষ তার ইচ্ছার কারণেই প্রেমে পড়ে। সে ইচ্ছা করেই প্রেমিকাকে দেখে, তার কথা ভাবে, তার সাথে সাক্ষাৎ করতে যায়। যেহেতু, তার নিজের কারণেই তার প্রেম তীব্র হয়, তাই সে এবং শুধুমাত্র সেইই এর কারণে দায়ী থাকবে। এটা অনেকটা মদ পান করার মতোই। মদ পান করা কারো ব্যক্তিগত ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। কিন্তু এর ফলাফল(যেমন স্মৃতিভ্রম, হতাশা, বারবার মদ পান করা ইত্যাদি) হচ্ছে তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। কিন্তু যেহেতু সে ইচ্ছা করেই মদ পান শুরু করেছিল, তাই “এটা আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল” বললে তাকে মাফ করা হবে না। [৮]
.
আবার অনেকে দাবী করে, প্রেম করার কারণে তার হতাশা কেটে গেছে। সে জীবনে বেঁচে থাকার মানে খুঁজে পেয়েছে।
.
কথাগুলো হয়তো সত্যি। কিন্তু আমাদের জীবনে বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য কি? সৃষ্টির জন্য নাকি স্রষ্টার জন্য? ইবনে তাইয়িমাহ(রহ.) বলেন, “প্রেমে পড়ার কারণে মানুষ তার বুদ্ধি আর জ্ঞান হারায়, আদব আর দ্বীন হারায়, সারাক্ষণ এটা নিয়ে পড়ে থাকে যা তার দ্বীন আর দুনিয়ার উন্নতিতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। এই খারাপ প্রভাবগুলো প্রেমের উপকারিতার চেয়ে কয়েকগুণ বেশী। প্রেম মানেই তাতে উপকারের চেয়ে ক্ষতি অনেক বেশী হবে।”[৯]
.
শুধু তাই না প্রেম কখনো কখনো আমাদের কুফরের দিকে নিয়ে যায়। ইবনুল কাইয়্যুম(রহ.) ব্যাখ্যা করে বলেন, “প্রেমে পড়ে মানুষ প্রেমিকাকে আল্লাহ্র প্রতিদ্বন্দ্বী বানিয়ে ফেলে। তাদের অন্তরে আল্লাহ্র চেয়ে প্রেমিকার প্রতিই বেশী ভালোবাসা থাকে। এই ধরনের প্রেমকে কখনো ক্ষমা করা হয় না। কারণ, এটা হচ্ছে সবচেয়ে জঘন্য শিরকের মধ্যে একটি। আল্লাহ্ তায়ালা তার সাথে শিরক করার গুনাহ ক্ষমা করেন না।”[১০]
.
আল্লাহ্ তায়ালা বলেন,”আর কোন লোক এমনও রয়েছে যারা অন্যদের আল্লাহর সমকক্ষ করে এবং তাদের প্রতি তেমনি ভালোবাসে, যেভাবে শুধু আল্লাহ্কেই ভালোবাসা উচিত। কিন্তু যারা আল্লাহর প্রতি ঈমানদার তাদের ভালবাসা ওদের তুলনায় বহুগুণ বেশী। আর কতইনা উত্তম হ’ত যদি এ জালেমরা পার্থিব কোন আযাব প্রত্যক্ষ করেই উপলব্ধি করে নিত যে, যাবতীয় ক্ষমতা শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহর আযাবই সবচেয়ে কঠিনতর।” [আল কুর’আন, সূরা বাকারাহ(২): ১৬৫]
.
আমাদের প্রেম করার পিছনে আরেকটা যুক্তি হচ্ছে- একে অপরকে দীর্ঘ সময় ধরে বোঝার চেষ্টা করা, ভালোবেসে বিয়ে করা। ভাবটা এমন যেন, আমাদের আগের প্রজন্মে প্রেম করে বিয়ে না করার কারণে কোনো ভালোবাসা ছিল না। অথচ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সহজাত ভালোবাসা হচ্ছে আল্লাহ্র এক নিদর্শন। আল্লাহ্তায়ালা বলেন,
“তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।” [আল কুর’আন, সূরা রুম(৩০):২১]
.
এতো সুন্দর “কাছে আসার গল্প” সৃষ্টি করা মানুষগুলোর পরিণতি কি হচ্ছে? আল্লাহ্র ক্রোধ নিয়ে শুরু করা সম্পর্কগুলোতে যা হয় আর কি! ডিভোর্স রেট স্মরণকালের সব রেকর্ড ভঙ্গ করছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের জরিপ অনুসারে, শুধু রাজধানীতেই ২০১৪ সালে ডিভোর্স হয়েছে ২২ হাজার ৪৮৮টি। অথচ ২০১৩ সালে ডিভোর্সের ঘটনা ছিল ৮ হাজার ২১৪টি। ২০০০ সালেও ঢাকায় ডিভোর্সের ঘটনা ছিল মাত্র ২৭৫৩টি।[১১]
.
প্রেমে পড়ে গেলে তাহলে কি করতে হবে? সমাধান কি?
.
সিয়াম পালন করা। আল্লাহ্র নিকট দু’য়া করা। রাসূল(সা.) যেমন আল্লাহ্র নিকট দু’য়া করতেন; “হে আল্লাহ্! আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই শোনার অনিষ্ট থেকে, দেখার অনিষ্ট থেকে, জিহ্বার অনিষ্ট থেকে, হৃদয়ের অনিষ্ট থেকে আর গোপন অঙ্গের অনিষ্ট থেকে।”[১২]
.
তারপরেও যদি কাজ না হয়? ইবনুল কাইয়্যুম(রহ.) বলেন, “যদি সব ওষুধে কাজ না হয়, তাহলে তো শুধু একটা দরজাই খোলা থাকে। সে যেন তাঁকে একান্তভাবে ডাকে যিনি বান্দাদের একান্ত প্রয়োজনে সাড়া দেন। সে যেন তাঁর দরজার সামনে অনুনয় আর বিনয় নিয়ে দাঁড়ায়। যে এমনটা করতে পারে, সেই তো সাফল্য লাভ করে।”[১৩]
আমাদের আল্লাহ্কে ভয় করা উচিত। একবার ভাবা উচিত- যদি আমরা কোনো মন্ত্রীর মেয়ের প্রেমে পড়ি, তবে কি তাকে পাবার চেষ্টা করবো নাকি মন্ত্রীর ভয়ে বিরত থাকব? যদি উত্তরটা না হয়, তবে আল্লাহ্কে কি আরো অধিক ভয় করা উচিত না?
.
মানুষ দুনিয়াতে যাকে সবচেয়ে বেশী ভালোবাসবে, কিয়ামতের দিন তাকে তার সাথেই উঠানো হবে। আমাদের দেখা উচিত আমাদের হৃদয়ের ভালোবাসাটুকু আমরা কাকে উজাড় করে দিচ্ছি। আমাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি একজনকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে?
এমন কোনো বর্ণনা নেই যে, প্রেমের পর বিয়ে করে নিলে সে প্রেম মাফ হয়ে যায়। আর এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই যে, যার সাথে প্রেম করছি আমি তাকেই বিয়ে করতে পারব।
.
দূর্ভাগ্যজনকভাবে, আমাদের সমাজ প্রেমকে সহজ করে বিয়েকে কঠিন করে দিয়েছে। শায়খ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর(রহ.) স্যার খুব দুঃখ করে বলতেন, “আমাদের সমাজে অলিখিত শ্লোগান- বিবাহকে না বলুন, ব্যভিচারকে হ্যাঁ বলুন!”[১৪]
IslamQA এর একটি ফত’ওয়াতে দেখলাম, রাসূল(সা.) তাঁর এক স্ত্রীকে বারো উকিয়া মোহর দিয়েছেন। শায়খ সেখান থেকে এর বর্তমান বাজার মূল্য বের করেছেন। টাকাতে অঙ্কটা দাঁড়ায় প্রায় ৩২,০০০। আমাদের সমাজের একেবারে নিম্নবিত্ত ছেলেও কি এ টাকায় বিয়ে করতে পারে?[১৫]
.
প্রেম রোগের সবচেয়ে সেরা সমাধান দিয়েছেন পৃথিবীর সেরা মানব রাসূল(সা.)। বলেছেন-
“একে অপরকে ভালোবাসে এমন দুইজনের জন্য বিয়ের চেয়ে উত্তম আর কিছুই নেই।”[১৬]
.
.
[১] Thamm Al-Hawa (pg. 459)
[২] Al-Jawaab Al-Kaafi (pg. 155)
[৩] Qaa`idah fi Al-Mahabbah (pg. 54-55)
[৪] Zaad Al-Ma`aad (4/246)
[৫] Tareeq Al-Hijratain (pg. 413)
[৬] Lust(pg.24-25)
[৭] Lust(pg.15)
[৮] Lust(pg.1o)
[৯] Al-Istiqaamah (1/459)
[১০] Al-Jawaab Al-Kaafi (pg. 150)
[১১] সংসার ভাঙছে উদ্বেগজনক হারেঃ
http://www.dailysangram. com/post/161320
[১২] আবু দাউদ(১৫৫১)
[১৩] Lust(pg.36)
[১৪] https://www. youtube.com/watch?v=N98u3n_Z5u4
[১৬] ইবনে মাজাহ, হাদীসঃ ১৮৪৭
(সংগৃহীত)

SmailplzSmail

Friday, June 2, 2017

৮ উইকেটে হারলো বাংলাদেশ



৮ উইকেটে হারলো বাংলাদেশ তামিম, মুশফিকের ভরসা করার মতো ব্যাটিংও শেষ পর্যন্ত জেতাতে পারলো না টাইগারদের। জো রুটের সেঞ্চুরি এগিয়ে নিলো ইংল্যান্ডকে।
 
এর আগে বাংলাদেশি বোলার জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা অ্যালেক্স হেলসকে ফেরান অনিয়মিত বোলার সাব্বির রহমান। সানজামুলের হাতে ধরা পড়ার আগে ৮৬ বলে ৯৫ রান করেন হেলস।  জয়ের লক্ষ্যে ৩০৬ রানে খেলতে নেমে দলীয় ৬ রানে প্রথম উইকেটের পতন হন। ইংল্যান্ড ইনিংসের শুরুতে মাশরাফির শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন ইংল্যান্ড ওপেনার জেসন রায়।  ইনিংসের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে মাশরাফির গুড লেন্থের একটি বল প্যাডেল সুইপ খেলতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে মুস্তাফিজের দুর্দান্ত ক্যাচে আউট হন রয়।
 
এর আগে ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ওভাল ক্রিকেট গ্রাউন্ড মাঠে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩০৫ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। ইংলিশদের জয়ের লক্ষ্য ৩০৬। বাংলাদেশের পক্ষে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। তামিম ১৪২ বলে ১২ টি চার ও ৩টি বিশাল ছয়ে ১২৮ রান করেন। তামিম ছাড়াও টাইগারদের হয়ে মুশফিকুর রহিম ৭৯, সৌম্য সরকার ২৮, সাব্বির রহমান ২৪ রান সংগ্রহ করেছেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে লিয়াম প্লাঙ্কেট ৪ টি, স্টোকস ও বল ১ টি করে উইকেট লাভ করেন।
 
বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমান, মাহমুদুল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন।
 
ইংল্যান্ড দল: এলেক্স হেলস, জেসন রয়, জো রুট, ইয়ন মরগান, বেন স্টোকস, জশ বাটলার, মঈন আলী, ক্রিস ওকস, লিয়াম প্লাঙ্কেট, মার্ক উড, জ্যকসন বল।

Thursday, May 18, 2017

প্রশ্ন: কেউ যদি কোন নারীকে ধর্ষণ করতে উদ্যত হয় তখন সেই নারীর উপর আত্মরক্ষা করা কি ওয়াজিব? আত্মরক্ষার জন্য অস্ত্র ব্যবহার করা জায়েয হবে কি?
.
উত্তরঃ শাইখ মুহাম্মদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ ৷ ইসলামিক স্কলার, সৌদী আরব ৷
.
যে নারীর সাথে জোরপূর্বক যেনা করার চেষ্টা করা হচ্ছে সে নারীর উপর আত্মরক্ষা করা ফরজ। তিনি কিছুতেই দুর্বৃত্তের কাছে হার মানবেন না। এজন্য যদি দুর্বৃত্তকে হত্যা করে নিজেকে বাঁচাতে হয় সেটা করবেন। এই আত্মরক্ষা ফরজ। ধর্ষণ করতে উদ্যত ব্যক্তিকে হত্যা করার কারণে তিনি দায়ী হবেন না। এর সপক্ষে দলিল হচ্ছে- ইমাম আহমাদ ও ইবনে হিব্বান কর্তৃক সংকলিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস “যে ব্যক্তি তার সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে মারা গেল সে শহীদ। যে ব্যক্তি তার জীবন রক্ষা করতে গিয়ে মারা গেল সে শহীদ। যে ব্যক্তি তার ধর্ম রক্ষা করতে গিয়ে মারা গেল সে শহীদ। যে ব্যক্তি তার পরিবার রক্ষা করতে গিয়ে মারা গেল সে শহীদ।” এ হাদিসের ব্যাখ্যায় এসেছে- “যে ব্যক্তি তার পরিবার রক্ষা করতে গিয়ে মারা গেল সে শহীদ” অর্থাৎ যে ব্যক্তি তার স্ত্রী অথবা অন্য কোন নিকটাত্মীয় নারীর ইজ্জত রক্ষা করতে গিয়ে মারা গেল (সে শহীদ)।
.
যদি স্ত্রীর ইজ্জত রক্ষা করার জন্য লড়াই করা ও ধর্ষকের হাত থেকে স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে নিহত হওয়া স্বামীর জন্য বৈধ হয় তাহলে কোন নারী নিজের ইজ্জত নিজে রক্ষা করার জন্য প্রাণান্তকর লড়াই করা; এই ধর্ষক, জালিম ও দুর্বৃত্তের হাতে নিজেকে তুলে না দিয়ে নিহত হওয়া সে নারীর জন্য বৈধ হওয়া অধিক যুক্তিপূর্ণ। কেননা তিনি যদি নিহত হন তাহলে তিনি শহীদ। যেমনিভাবে কোন নারীর স্বামী তার স্ত্রীর ইজ্জত রক্ষা করতে গিয়ে যদি নিহত হন তিনি শহীদ। শহীদি মৃত্যুর মর্যাদা অনেক বড়। আল্লাহর আনুগত্যের পথে, তাঁর পছন্দনীয় পথে মারা না গেলে এ মর্যাদা লাভ করা যায় না। এর থেকে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ তাআলা এ ধরনের প্রতিরোধকে তথা কোন ব্যক্তির তার স্ত্রীর ইজ্জত রক্ষার জন্য লড়াই করাকে এবং কোন নারীর তার নিজের ইজ্জত রক্ষার জন্য লড়াই করাকে পছন্দ করেন। আর যদি কোন নারী আত্মরক্ষা করতে সমর্থ্ না হন, পাপিষ্ঠ ও দুশ্চরিত্র লোকটি যদি তাকে পরাস্ত করে তার সাথে যেনাতে লিপ্ত হয় তাহলে এ নারীর উপর হদ্দ (যেনার দণ্ড) অথবা এর চেয়ে লঘু কোন শাস্তি কার্যকর করা হবে না। কারণ হদ্দ কায়েম করা হয় সীমালঙ্ঘনকারী, পাপী ও দুশ্চরিত্র ব্যক্তির উপর।
.
ইবনে কুদামা হাম্বলির “মুগনী” নামক গ্রন্থে এসেছে- যে নারীকে কোন পুরুষ ভোগ করতে উদ্যত হয়েছে ইমাম আহমাদ এমন নারীর ব্যাপারে বলেন: আত্মরক্ষা করতে গিয়ে সে নারী যদি তাকে মেরে ফেলে... ইমাম আহমাদ বলেন: যদি সে নারী জানতে পারেন যে, এ ব্যক্তি তাকে উপভোগ করতে চাচ্ছে এবং আত্মরক্ষার্থে তিনি তাকে মেরে ফেলেন তাহলে সে নারীর উপর কোন দায় আসবে না। এ প্রসঙ্গে ইমাম আহমাদ একটি হাদিস উল্লেখ করেন যে হাদিসটি যুহরি বর্ণনা করেছেন কাসেম বিন মুহাম্মদ থেকে তিনি উবাইদ বিন উমাইর থেকে। তাতে রয়েছে- এক ব্যক্তি হুযাইল গোত্রের কিছু লোককে মেহমান হিসেবে গ্রহণ করল। সে ব্যক্তি মেহমানদের মধ্য থেকে এক মহিলাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছিল। তখন সে মহিলা তাকে পাথর ছুড়ে মারেন। যার ফলে লোকটি মারা যায়। সে মহিলার ব্যাপারে উমর (রাঃ) বলেন: আল্লাহর শপথ, কখনই পরিশোধ করা হবে না অর্থাৎ কখনোই এই নারীর পক্ষ থেকে দিয়ত (রক্তমূল্য) পরিশোধ করা হবে না। কারণ যদি সম্পদ রক্ষার্থে লড়াই করা জায়েয হয় যে সম্পদ খরচ করা, ব্যবহার করা জায়েয তাহলে কোন নারীর তার আত্মরক্ষার্থে, খারাপ কাজ থেকে নিজেকে হেফাযত করতে গিয়ে, যেনা থেকে নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে- যে গুনাহ কোন অবস্থায় বৈধ নয়- লড়াই করা সম্পদ রক্ষার লড়াই এর চেয়ে অধিক যুক্তিপূর্ণ। এইটুকু যখন সাব্যস্ত হল সুতরাং সে নারীর যদি আত্মরক্ষা করার সামর্থ্য থাকে তাহলে সেটা করা তার উপর ওয়াজিব। কেননা দুর্বৃত্তকে সুযোগ দেয়া হারাম। এক্ষেত্রে আত্মরক্ষা না করাটাই তো সুযোগ দেয়া।[আল-মুগনি (৮/৩৩১)] আল্লাহ ভাল জানেন।[আল-মুফাসসাল ফি আহকামিল মারআ (৫/৪২-৪৩)]
.
ইবনুল কাইয়্যেম তাঁর “আত-তুরুকুল হুকমিয়্যা” গ্রন্থে বলেন: ১৮- (পরিচ্ছেদ) উমর (রাঃ) এর নিকট এক মহিলাকে আনা হল যে মহিলা যেনা করেছে। তিনি তাকে জিজ্ঞসাবাদ করলেন: মহিলাটি দোষ স্বীকার করল। উমর (রাঃ) তাকে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করার নির্দেশ দিলেন। তখন আলী (রাঃ) বললেন: এ নারীর কোন ওজর থাকতে পারে। এ কথা শুনে উমর (রাঃ) মহিলাটিকে বললেন: কেন তুমি যেনা করেছ? মহিলাটি বলল: আমি এক লোকের সাথে একত্রে পশু চরাতাম। তার উটপালে পানি ও দুধ ছিল। আমার উটপালে পানি ও দুধ ছিল না। আমি পিপাসার্ত হয়ে তার কাছে পানি চাইলাম। সে অস্বীকার করে বলল- আমি আমাকে ভোগ করতে দিলে সে পানি দিবে। আমি (তার প্রস্তাব) তিনবার অস্বীকার করলাম। এরপর আমি এত তীব্র পিপাসা অনুভব করলাম যেন আমার প্রাণবায়ু বেরিয়ে যাবে। তখন আমি সে যা চায় তাকে তা দিলাম। বিনিময়ে সে আমাকে পানি পান করাল। তখন আলী (রাঃ) বললেন: আল্লাহু আকবার (আল্লাহ মহান)।
.
فَمَنْ اُضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلا عَادٍ فَلا إثْمَ عَلَيْهِ ، إنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ
.
(অর্থ- অবশ্য যে লোক অনন্যোপায় হয়ে পড়ে এবং নাফরমানী ও সীমালঙ্ঘনকারী না হয়, তার জন্য কোন পাপ নেই। নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহান ক্ষমাশীল, অত্যন্ত দয়ালু।)[সূরা বাকারা, আয়াত: ১৭৩]
.
সুনানে বাইহাকীতে এসেছে- আবু আব্দুর রহমান আল-সুলামি হতে বর্ণিত তিনি বলেন: উমর (রাঃ) এর নিকট এক মহিলাকে ধরে আনা হল। সে মহিলা তীব্র পিপাসায় কাতর ছিল এবং এক রাখালের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। মহিলাটি রাখালের কাছে পানি চাইল। রাখাল তাকে পানি দিতে অস্বীকৃতি জানাল- যদি না মহিলা রাখালকে জৈবিক চাহিদা পূরণ করার সুযোগ না দেয়। উমর (রাঃ) এ মহিলাকে পাথর নিক্ষেপে হত্যার ব্যাপারে সাহাবায়ে কেরামের সাথে পরামর্শ করলেন। তখন আলী (রাঃ) বললেন: এ মহিলা অনন্যোপায় ছিল। আমার অভিমত হল- তাকে খালাস দিন। তখন উমর (রাঃ) মহিলাটিকে খালাস দিলেন। আমি বলব: এই বিধান এখনো চলমান আছে। যদি কোন নারী কোন পুরুষের কাছে থাকা খাবার বা পানীয়ের তীব্র প্রয়োজনের সম্মুখীন হয় এবং সে পুরুষ যেনা করা ছাড়া সেটা দিতে রাজি না হয়, আর সে নারী স্বীয় জীবন নাশের আশংকা করে নিজেকে সে পুরুষের হাতে তুলে দেয় সেক্ষেত্রে সে নারীর উপর শরয়ি হদ্দ (যেনার দণ্ড) কায়েম করা হবে না। কেউ যদি বলেন: এমতাবস্থায় নিজেকে তুলে দেয়া কি জায়েয; নাকি মৃত্যু হলেও ধৈর্য রাখা ওয়াজিব? উত্তর হচ্ছে: এই নারীর ক্ষেত্রে শরয়ি হুকুম হচ্ছে- জোরপূর্বক ধর্ষণের শিকার নারীর হুকুম। যে নারীকে এই বলে হুমকি দেয়া হয়: ‘সুযোগ দিলে দে; না হয় তোকে মেরে ফেলব’। ধর্ষণের শিকার নারীর উপর হদ্দ কায়েম করা হবে না। মৃত্যু থেকে বাঁচার জন্য সে নারী নিজের ইজ্জত বিসর্জন দিতে পারে। তবে যদি কোন নারী ধৈর্যধারণ করে মৃত্যুকে বরণ করে নেয় তবে সেটা তার জন্য উত্তম। কিন্তু এক্ষেত্রে ধৈর্য ধরা তার উপর ফরজ নয়।
.
আল্লাহই ভাল জানেন।
.
সূত্রঃ islamqa. info
অনুবাদ কৃতজ্ঞতা: মুহতারাম Muhammad Nurullah Tarif ভাই। 
.
সংযোজনঃ হানাফি আলিমগণ হাদিসগুলো থেকে কী বিধান বের করেছেন তা আমার জানা নেই। তবে হানাফী আলিমগণ এ ব্যাপারে একমত যে, কোনো অবস্থাতেই ধর্ষকের কাছে নিজেকে সঁপে দিতে পারবে না। লড়াই করতে হবে। ফরাসি এক সৈন্য তার ডায়েরিতে লিখেছিলো, যখন আমরা আলজেরিয়াতে মুজাহিদদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালাতাম তখন নারীরা পশুর আস্তাবলে চলে যেতো এবং সারা শরীরে গোবর মেখে দিতো, যাতে আমরা তাদেরকে স্পর্শ করতে না পারি, অপহরণ করতে না পারি!

-আল মুজাহিদ আরমান

Monday, May 15, 2017

মেয়েরা সবসময় চায় ছেলেদের ফিলিংস দেখতে,আর
ছেলেরা সব সময় চায় মেয়েদের কাছে তাদের ফিলিংস লুকাতে।
by ibrahim HD