Friday, May 22, 2015

ম্যাগি নুডুলসে ভয়াবহ মাত্রায় ম্যাগনেসিয়াম গ্লুমেট পাওয়ায় ভারতে নিষিদ্ধ


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (এইচডব্লিউও) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যেকোনও খাবারে প্রতি মিলি লিটারে ০.০১ শতাংশ সীসা থাকতে পারে। কিন্তু ম্যাগিতে প্রাপ্ত সীসার পরিমাণ হচ্ছে, প্রতি মিলিলিটারে ১৭ ভাগ।
মনোসোডিয়াম গ্লুমেট মূলত কোনও খাবারে মেশানো হয় স্বাদ বাড়ানোর জন্যে। স্বল্প পরিমাণে মনোসোডিয়াম গ্লুমেট খাবার এবং মানুষের শরীরের পক্ষে নিরাপদ হলেও এর অতিরিক্ত পরিমাণ ব্যবহার ও দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে ভারতে স্থানীয় খাদ্য পরিদর্শকরা নেসলেকে দেশের সকল দোকান থেকে তাদের এই পণ্যটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে ম্যাগি নুডুলস নিষিদ্ধ করার কথা নিশ্চিত করা হয়েছে।
রয়টার্সকে উত্তর প্রদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও ওষুধ কর্তৃপক্ষ (এফডিএ) জানান, নেসলে ইন্ডিয়া উৎপাদিত এই পণ্যটির দুই ডজন প্যাকেট এ নিয়মিত পরীক্ষা করে অতি উচ্চ মাত্রায় সীসা পাওয়া গেছে।
দু’জন এফডিএ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাষ্ট্র পরিচালিত গবেষণাগারে পরীক্ষা চালিয়ে সব নুডলসের প্যাকেটে বিষাক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তারা এতে সীসার মিশ্রণ পেয়েছে প্রতি এক মিলিয়ন অংশের (পিপিএম) ১৭ দশমিক ২ ভাগে। যা প্রায় সাত বার অনুমোদনযোগ্য সীমায় গিয়ে পৌঁছে।
ম্যাগি নুডুলসে ভয়াবহ মাত্রায় ম্যাগনেসিয়াম গ্লুমেট পাওয়ায় ভারতে নেসলে ফুড প্রোডাক্টসের ম্যাগি নুডুলস নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বহুজাতিক এ কোম্পানিটির একই ব্রান্ডের এ পণ্যটি আমাদের দেশেও বিশেষ করে শিশুদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
by ibrahim HD

Thursday, May 21, 2015

নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রযুক্তিতে ঘটানো

নেপালের স্মরণকালের ইতিহাসে ঘটে যাওয়া বিধবস্ত ভূমিকম্পে যেখানে ৯ হাজারের মতো মানুষ নিহত হয়েছে সেই ভূমিকম্প নিয়ে রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক। তিনি তার এক গবেষ্ণায় জোর দাবি দিয়ে বলেছেন, নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্প প্রাকৃতিক ছিল না, বরং বিশেষ প্রযুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র এই ভূমিকম্প ঘটিয়েছে। এই ভূমিকম্পের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আবিষ্কৃত হার্প প্রযুক্তিকে দায়ী করছেন তিনি। সাম্প্রতিক কালে নেপালে স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে পর্যটন সমৃদ্ধ দেশটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নেপালসহ ভারত, চীন ও বাংলাদেশে সর্বমোট ৮৫০০ জনেরও অধিক মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়া নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডু শহরে অবস্থিত প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী স্থানসমূহ ভূমিকম্পের ফলে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৯৩৪-এর নেপাল–বিহার ভূমিকম্পের পর এটি ছিল নেপালে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। কানাডীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো বেঞ্জামিন ফালফোর্ড তাঁর নিজস্ব ব্লগে জোরালোভাবে দাবি করেছেন, নেপালে সংঘটিত ভয়াবহ ভূমিকম্প যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। তিনি অভিযোগ করেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এই ঘটনার মাধ্যমে ভারত এবং চীনকে বার্তা প্রেরণ করেছে। চীনকে এবং ভারতকে বোঝাতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা সম্পর্কে। চীনের হাত থেকে একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রই ভারতকে বাঁচাতে পারে-এটা বোঝানোও অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল। আর ঠিক এজন্যই এ ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। আর তাদের এই ম্যাসেজ দেয়ার জন্য বলির পাঁঠা হতে হয়েছে নেপালের হাজার হাজার সাধারণ মানুষকে।’ তিনি তার ব্লগে আরো বলেন, নেপালে সৃষ্ট ভূমিকম্প মূলত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বৈদ্যুতিক তরঙ্গ (হার্প প্রযুক্তি)-এর মাধ্যমে ঘটানো হয়েছে। হার্পের পুরো নাম হলো হাই ফ্রিকোয়েন্সি অ্যাকটিভ অরোরাল রিসার্চ প্রোগ্রাম। যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর আর্থিক সহায়তায় আলাস্কা বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিরক্ষা উন্নয়ন গবেষণা কর্মসূচী সংস্থা (ডিআরপিএ) হার্প গবেষণা চালাচ্ছে ১৯৯৩ সাল থেকে। এ কর্মসূচির প্রধান উদ্দেশ্য হলো আবহাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে সৌরবিদ্যুতের ওপর প্রভাব তৈরি করা। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সরাসরি সমুদ্রের নিচে অথবা মাটির অভ্যন্তরে শক্তিশালী বৈদ্যুতিক তরঙ্গ সৃষ্টির মাধ্যমে সুনামি অথবা ভূমিকম্প তৈরি করা যায়। গবেষকদের দাবি, এর আগে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে কৃত্রিমভাবে এই ভূমিকম্প সৃষ্টি করা হয়েছিল। যদিও এ ধরনের অভিযোগের পক্ষে বিপক্ষে নানা মত রয়েছে। শুরুতে হার্প নিয়ে অভিযোগকে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হিসেবে দেখানো হলেও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হার্প দিয়ে মানববিধ্বংসী অস্ত্রের পরীক্ষার অভিযোগ দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। জানা যায়, এই প্রকল্প শুরু হয় স্নায়ুযুদ্ধের শুরু থেকে। রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র আলাদাভাবে এ নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছে। হার্পের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া উভয়েই কৃত্রিমভাবে প্রাকৃতিক দুর্বিপাক সৃষ্টির অস্ত্র তৈরি করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। হার্প নিয়ে রাশিয়ার চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই অভিযোগ বেশি আসছে বিভিন্ন মহল থেকে। এর আগে হাইতিতে ভূমিকম্পের পর পরই ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজ অভিযোগ করেন, আমেরিকার হাইতিতে টেকটোনিক ওয়েপন বা ভূ-কম্পন অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। ওই পরীক্ষার ফলে হাইতির পরিবেশ মারাত্মক বিপর্যয়ের কবলে পড়ে সৃষ্টি হয় রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প। তিনি আরো বলেন, এই অস্ত্র দূরবর্তী কোনো স্থানের পরিবেশের পরিবর্তন ঘটাতে পারে। পরিবেশকে ধ্বংস করে দিতে পারে। শক্তিশালী বিদ্যুৎচৌম্বকীয় তরঙ্গ সৃষ্টির মাধ্যমে ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে বা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটাতে পারে। শ্যাভেজ আমেরিকাকে এই ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্প অস্ত্র প্রয়োগ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। হাইতির ঘটনায় প্রায় এক লাখ ১০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে ৩০ লাখেরও বেশি লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া আরো বেশ কয়েকটি সূত্র থেকে দাবি করা হয়, এ ধরনের অপর এক অস্ত্র পরীক্ষায় চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ২০০৮ সালের ১২ মে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। এছাড়া রাশিয়া ২০০২ সালের মার্চে আফগানিস্তানে অনুরূপ এক পরীক্ষা চালিয়ে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করে।


by ibrahim HD

সাগরে অসহায়ভাবে নৌকায় ভাসমান অভিবাসীদের আশ্রয় দেবে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া

ব্যাংকক: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাগরে অসহায়ভাবে নৌকায় ভাসতে থাকা হাজারো অভিবাসন-প্রত্যাশীদের সাময়িক আশ্রয় দিতে সম্মত হয়েছে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া।
এতে সাগরে ভাসমান বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এটাকে একটি বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ‘অভিবাসী সংকট’ নিয়ে বুধবার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিফা আমান জানান, দুটো দেশ সাগরে ভাসমান আনুমানিক ৭,০০০ অভিবাসীকে সাময়িক আশ্রয় দেবে।
তবে তিনি দাবি করেন যে আগামী এক বছরের মধ্যে তাদের পুনর্বাসন ও প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে আন্তর্জাতিক সম্পদায়কে।
কুয়ালালামপুরে বৈঠকে অংশ নেওয়া দেশ তিনটি হলো ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেন।
সাগরে নৌকায় ভাসতে থাকা হাজারো অভিবাসন-প্রত্যাশীদের তীরে ভিড়তে না দেওয়ায় এই দেশ তিনটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনার মুখে পড়ে।
এদিকে আঞ্চলিক অভিবাসী সংকট সমাধানে প্রথমবারের মতো সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে মিয়ানমার। এত দিন দেশটি এই সংকটের দায় অস্বীকার করে আসছিল।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে জানায়, আঞ্চলিক অভিবাসী সংকটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগের সঙ্গে একমত ইয়াঙ্গুন। সমুদ্রে বাড়াই দুর্ভোগ পোহাচ্ছে, তাদের মানবিক সহায়তা দিতে মিয়ানমার প্রস্তুত।
আঞ্চলিক অভিবাসী সংকটের দায় প্রশ্নে মিয়ানমার যে কিছুটা নমনীয় হয়েছে, দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই বিবৃতিটি সেটাই ইঙ্গিত করছে।
সম্প্রতি মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হয় থাইল্যান্ড সরকার। এরপর প্রায় তিন হাজার মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অভিবাসন-প্রত্যাশীকে পাচারকারীরা জরাজীর্ণ ও ভিড়ে ঠাসা নৌকায় রেখে পালিয়ে যায়।
একপর্যায়ে ওই অভিবাসন-প্রত্যাশীদের তীরে ভিড়তে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড।
অনাহারী এসব অভিবাসী এক দেশের জলসীমা থেকে আরেক দেশের জলসীমায় ঘুরতে বাধ্য হয়। এর মধ্যেই বুধবার সকালে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূল থেকে প্রায় ৫০০ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
by ibrahim HD

আসন্ন সিরিজে পূর্ণ শক্তির ভারতকেই চেয়েছিলাম আমরা:মাশরাফি বিন মুর্তজার

 ক্রীড়া প্রতিবেদক : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত একটি উক্তি আছে, ‘যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই/ যাহা পাই তাহা চাই না।’ বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের স্কোয়াড ঘোষণার আগে মাশরাফি বিন মুর্তজার মাথায় হয়তো এই উক্তিই বারবার ঘুরছিল। কেননা চারদিকে একটা গুঞ্জন বেশ চাউর হয়েছিল, বাংলাদেশ সফরে আসছেন না কোহলি-ধোনির মতো তারকারা। এতে মাশরাফির মনটা বেজায় খারাপ ছিল, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
কয়েক দিন আগে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে নিজের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছিলেন টাইগার-দলপতি। বলেছিলেন, ‘আসন্ন সিরিজে পূর্ণ শক্তির ভারতকেই চাই আমরা।’
অবশেষে মাশরাফির কথাই সত্যি হলো। গুঞ্জনকে উড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে পূর্ণ শক্তির ভারতীয় স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন নির্বাচকরা। সেই স্কোয়াডে আছেন ধোনি-কোহলিসহ ভারতের প্রত্যাশিত সব ক্রিকেটারই। এতে মাশরাফির মন আপাতত ভালো হয়ে যাওয়ারই কথা।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মাশরাফি বিন মুর্তজা। সেখানেই ভারতের স্কোয়াড নিয়ে নিজের সন্তুষ্টির কথা বলেন টাইগার দলনেতা, ‘আমি প্রত্যাশা করেছিলাম, ভারত পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে বাংলাদেশে আসবে। বিশ্বকাপে যারা খেলেছে, তারাই বাংলাদেশে আসছে। চোটের কারণে দলে জায়গা হয়নি শুধু মোহাম্মদ শামির। আমি মনে করি, ভারতের দ্বিতীয় সারির দলও অনেকটা শক্তিশালী। তবে কোনো সিরিজে চ্যালেঞ্জটা বেড়ে যায় তখনই, আপনি যখন পূর্ণ শক্তির দলের বিপক্ষে লড়বেন।’
ভারতকে সমীহ করে বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক বলেন, ‘আপনি খেয়াল করবেন, টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ কিন্তু বিশ্বমানের। তাদের বিপক্ষে ভালো করতে আমাদের বোলারদের বড়সড় একটি চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। এই সিরিজটা আমাদের জন্য মোটেই সহজ হবে না। তবে আমরাও সেই চ্যালেঞ্জ নিতে পারব বলে আত্মবিশ্বাসী।’
দেখা যাক, পাকিস্তানের মতো ভারতকেও নাকানিচুবানি দিতে পারেন কি না মাশরাফি-মুশফিকরা। সেটা করতে বাস্তবে প্রমাণ দিতে হলে নিজেদের সেরাটাই উজাড় করে দিতে হবে টাইগারদের। আসন্ন সিরিজে বাংলাদেশ ভালো খেলবে, এমন আশায়ই বুক বেঁধে আছেন ভক্তরা।
by ibrahim HD

★ প্রসংগঃ ইসলামের দৃষ্টিতে প্রতিবেশির হক ও রোহিঙ্গাদের দুর্ভাগ্য । ★ এবং জাতি হিসেবে আমরা কি সংকীর্ণ ?????

★ প্রসংগঃ ইসলামের দৃষ্টিতে
প্রতিবেশির হক ও রোহিঙ্গাদের
দুর্ভাগ্য ।
★ এবং জাতি হিসেবে আমরা কি
সংকীর্ণ ?????
====================================
* হাদিসঃ রাসুল সাঃ বলেন, আল্লাহর
কসম সে মুমিন নয়, আল্লাহর কসম সে মুমিন
নয়, আল্লাহর কসম সে মুমিন নয়।
এই ভাবে তিনবার কসম কাটছিলেন এমন
সময় সাহাবারা প্রশ্ন করলেন, কোন
ব্যক্তি মুমিন নয়??
উওরে আল্লাহর রাসুল বলেন, যে ব্যক্তি
পেটপুরে খেয়ে রাত যাপন করে, অথচ
তার প্রতিবেশি উপোশ থাকে।
* সম্মানিত পাঠক বুঝতেই পারছেন যে
আমরা যতই নামাজ রোজা করিনা কেন,
আমাদের প্রতিবেশি যদি না খেয়ে
থাকে আমরা মুমিন নয় বা মুসলমানিত্ব
প্রশ্নবিদ্ধ? হযে যায় । এমন কি বলা
হয়েছে প্রোয়জনে তরকারীর ঝোল
বাড়িয়ে দাও তোমার প্রতিবেশির
জন্য, সুবাহানাল্লাহ।সুতারং এটা
প্রতিবেশিদের প্রতি দয়া নয়, এটা
তাদের আল্লাহ প্রদত্ত হক বা অধীকার।
বিগত কয়েক বছর
ধরে দেখে আসছি রোহিঙ্গাদের
নিদারূন কষ্টের জীবন, অনাহারে
ভয়ংকর গভীর সাগরে ভাসছে
আবার ঝড়ে মাঝে মধ্যে ট্র্রলার ডুবে
মারা ও যাচ্ছে।
কিছুদিন আগে শুনেছি অদৃশ্য
হেলিকপ্টার থেকে
নাকি গুলি বর্ষন করে কিছু
রোহিঙ্গাদের মেরেও ফেলা
হয়েছে। বাংলাদেশ মালশিয়া
ইন্দোনেশিয়া কোন দেশেই তাদের
ঢুকতে দিচ্ছেনা, ঐদিকে তাদের দেশ
মিয়ানমারে গেলে প্রকাশ্যে মেরে
ফেলা হচ্ছে, হে
আল্লাহ তাদের এখন উপায় কি? তুমি
আল্লাহ ভাল
জান। এমন একটি দুনিয়াই আমরা এসে
পোঁছেছি
যেখানে আমরা সবাই নিজেদের ভোগ
বিলাসিতা
নিয়ে ব্যস্ত, কে কার খবর রাখে হায়রে
মুসলমান
হায়রে মানুষ।ইসলামের ইতিহাসে
আমরা দেখেছি
মাক্কার কাফেরদের অত্যচারে অতিষ্ঠ
হয়ে যখন
মুসলমানেরা মদিনায় আশ্রয় নিয়েছিল
তখন
মদিনাবাসী তাদের কিভাবে আশ্রয়
দিয়েছিল? ভাই
হিসেবে গ্রহন করে, যার দুইবিঘা জমি
ছিল সে অপর ভায়ের জন্য একবিঘা
ছেড়ে দিয়েছিল।এবংযার দুটো
স্ত্রী ছিল একটা তালাক দিয়ে অন্য
ভায়ের কাছে
বিবাহ দিয়েছিল, কি অনুপম দৃশ্যই না
তারা প্রদান।
করেছিল, আর আমরা কি করছি??।
★প্রতিবেশি হিসেবে
বাংলাদেশের দায়িত্ব কি ????
প্রতিবেশির আওতা সবার জন্য সমান নয়,
যেমন একটা বাড়ির প্রতিবেশি
পাশের ৪০ ঘর, একটা পাড়া
বা মহল্লার প্রতিবেশি আর একটি
পাড়া বা মহল্লা,
একটি গ্রামের আর একটি গ্রাম, একটি
ইউনিয়নের
পাশের আর একটি ইউনিয়ন, একটি
থানার প্রতিবেশি পাশের থানা,
জেলার আর একটি জেলা।
একটি দেশের প্রতিবেশি পাশের
দেশগুলি, এইভাবে
প্রতিবেশি আওতা বাড়তে থাকে।
এখন মিয়ানমার বাংলাদেশের সব
থেকে কাছের
জনগন ও দেশের প্রতিনিধি নয় কি ???
অবশ্যই
তাইনা??। সুতারং বালাদেশ তথা
সরকারে বড়
দায়িত্ব তাদের পাশে সর্বশক্তি দিয়ে
দাড়ানো ।
কে এগিয়ে আসলো কে আসলো না
সেটা দেখার কোন প্রোয়জন নাই।
আমরা বালাদেশের জনগনের
পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি,
বাংলাদেশ সরকার
ও প্রধানমন্ত্রীর নিকট, দয়া করে
রোহিঙ্গাদের পাশে
দাড়িয়ে প্রমান করন আমরা সংকীর্ণ
জাতি নয়তো
বটেই বরং উদার। কঠিন গুনাগ থেকে
আপনি ১৭ কোটি জনগন কে বাঁচান -
বাঁচান বাচাঁন। ধন্যবাদ
সবাই কে। পারলে লেখাটি শেয়ার
করুন।।o
by ibrahim HD