Tuesday, June 30, 2015

হলুদ কার্ড নিয়ে দুশ্চিন্তায় কোপা আমেরিকার মেসিরা

সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার সামনে এখন প্যারাগুয়ে। দুবারের কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন। আবার শেষ আসরের ফাইনালিস্ট। এই দলটির সাথেই আবার গ্রুপ পর্বে প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেও পরে ২-২ গোলে ড্র করতে হয়েছিল আর্জেন্টিনাকে। কিন্তু প্যারাগুয়ের চেয়ে বড় সমস্যার নাম এখন আর্জেন্টিনার জন্য গোল। গোল পাচ্ছে না তারা। আগের চার ম্যাচে মাত্র চার গোল করেছে তারা।
কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার সাথে তো তারা গোলের দেখাই পায়নি। ০-০ তে থেকে শেষ পর্যন্ত যেতে হয়েছে পেনাল্টি শুট আউটে। সেখানে জিতে তবেই না সেমিফাইনালের টিকিট পেয়েছে আর্জেন্টিনা। জয় যেভাবে আসুক সেটি জয়। আর আর্জেন্টিনার সামনে এখন ১৯৯৩ সালের পর আবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হাতছানি। দীর্ঘকাল ধরে বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকার শিরোপাবঞ্চিত তারা। একটি বড় শিরোপা তাদের চাই ই চাই। আর এবারের কোপার মতো সুযোগ কি আর বারবার আসবে! ফাইনালে উঠে গেছে স্বাগতিক চিলি। আর এখন প্যারাগুয়ের সাথে জিতলেই ফাইনালের টিকিট বিশ্বকাপের রানার্স আপ আর্জেন্টিনার হাতেও। কিন্তু গোল পাচ্ছে না যে তারা! লিওনেল মেসি মাত্র এক গোল করেছেন।
বিশ্বকাপের পর আলেজান্দ্রো সাবেলা সরে গেছেন কোচের পদ থেকে এসেছেন গেরার্দো মার্তিনো। আর তার অধীনে কোয়ার্টার ফাইনালের খেলাটিকে অন্য উচ্চতায় দেখছেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হাভিয়ের পাস্তোরে। তার মতে সেদিন ফুটবলটা দারুণ খেলেছে আর্জেন্টিনা। সমস্যা একটাই। গোল পায়নি।
পাস্তোরে তারপরও কোয়ার্টার ফাইনালের খেলায় মুগ্ধ। বলেছেন, “আমার চোখে মার্তিনোর সময়ে কলম্বিয়ার বিপক্ষের ম্যাচটি ছিল আমাদের জন্য সেরা। আমাদের শুধু গোলের অভাব ছিল।”
সার্জিও আগুয়েরো ফর্মে আছেন। মেসি তো গোলের বন্যা বইয়ে দিয়ে এসেছেন লিগ ও ইউরোপিয়ান ফুটবলে। তাদের কাছে তাই দলের প্রত্যাশা অনেক। বিশেষ করে অধিনায়ক মেসির কাছে গোল চায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না।
কিন্তু সেমিফাইনালে প্যারাগুয়ের বিপক্ষের ম্যাচে ঝামেলাও আছে একটা। মেসি, আগুয়েরো ও মাচেরানো একটি করে হলুদ কার্ড এর মধ্যে দেখেছেন। নিশ্চিতভাবে প্যারাগুয়ের পরিকল্পনায়ও থাকবে এই তিন খেলোয়াড়কে স্বাভাবিক খেলা উপহার দিতে না দেওয়ার ব্যাপারটি। কারণ, আর একটি হলুদ কার্ড মানে ফাইনালে খেলা মিস করা। আর তাদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে না দেওয়া মানে প্যারাগুয়ের পরিকল্পনার জয়। ২০০৭ সালের পর আবার কোপার ফাইনালের দরজায়। মেসিরাও তো পেশাদার খেলোয়াড়। কঠিন পরিস্থিতি হলুদ কার্ডের। তাদেরও নিশ্চয় জানা আছে কিভাবে এই ফাঁদ থেকে নিজেদের বের করে সেরা খেলটা উপহার দিতে হয়। নিশ্চিতভাবে ফাইনালের হাতছানিটা এত সহজে তো উপেক্ষা করা চলে না। আর ফাইনাল মানেই তো এক ধাপ দূরেই শিরোপা। লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্ব। আর্জন্টিনার ও মেসির মুকুটে উজ্জ্বলতম একটি পালক। যার চর্চা যুগের পর যুগ হতে থাকবে ইতিহাসে।
by ibrahim HD

0 comments:

Post a Comment