
ইরানের চেহরাবাদ লবণ খনির গভীর অন্ধকারে লুকিয়ে ছিল এক অবিশ্বাস্য আবিষ্কার সম্পূর্ণ সংরক্ষিত একটি মানবদেহ। গবেষকরা একে নাম দিয়েছেন “লবণ মানুষ”।
প্রায় ১,৭০০ বছর আগে লবণের স্তরে চাপা পড়ে থাকা এই দেহ আজও বিস্ময়করভাবে অক্ষত রয়েছে।
তার চুল, দাড়ি, পোশাক, এমনকি চামড়ার জুতো আর ব্যবহৃত সরঞ্জামও সময়ের পরীক্ষায় টিকে গেছে। ধারণা করা হয়, তিনি ছিলেন এক খনি শ্রমিক, যিনি হঠাৎ এক ধসের মধ্যে চাপা পড়ে প্রাণ হারান। কিন্তু প্রকৃতির আশ্চর্য কৌশলে লবণের শুষ্কতা তার দেহকে পচন থেকে রক্ষা করে, তৈরি করে ইতিহাসের এক অনন্য “টাইম ক্যাপসুল”।
এটি কেবল একটি কঙ্কাল নয়, বরং হাজার বছরের পুরোনো এক জমাট বাঁধা মুহূর্ত। এক বাস্তব মানুষ যিনি বেঁচেছিলেন, কাজ করতেন, আর মৃত্যুবরণ করেছিলেন পৃথিবীর অন্তর্গত বিপজ্জনক সেই অচেনা জগতে।
আজ “লবণ মানুষ” আমাদের সামনে হাজির হন শুধু ইতিহাসের ট্র্যাজেডি নয়, বরং সংরক্ষণ, স্থায়িত্ব এবং পৃথিবীর অজানা রহস্যের এক অনন্য প্রতীক হয়ে।
Source: Naturhistorisches Museum Wien
0 comments:
Post a Comment