
করপোরেট চাকরি ছেড়ে কৃষিজগতে প্রবেশ করা মুনজের আলম জাপানের সহায়তায় প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘বরেন্দ্র কৃষি উদ্যোগ’ ও ‘শুদ্ধ’ ব্র্যান্ড। চলতি বছর তিনি ৭০০ কেজি শুকনা আম উৎপাদন করে অনলাইনে কেজিপ্রতি ২,৪০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। পাশাপাশি আমের পাউডারও তৈরি করছেন তিনি। আগামী বছর তার লক্ষ্য ২০ মেট্রিক টন শুকনা আম উৎপাদন, যার বড় একটি অংশ যাবে রপ্তানির জন্য।
অন্যদিকে, ‘নওয়াবি ম্যাঙ্গো’ নামে ব্র্যান্ড গড়ে তুলেছেন উদ্যোক্তা ইসমাইল খান। টানা ৪০ বার ব্যর্থ হওয়ার পর অবশেষে তিনি শুকনা আম উৎপাদনে সফল হন। এ বছর তিনি ৩০০ কেজি শুকনা আম কেজিপ্রতি ২,০০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। আগামী বছর তার উৎপাদন লক্ষ্য ১৩ টন।
বিশ্ববাজারে শুকনা আমের আয়তন প্রায় ২২৪ কোটি মার্কিন ডলার — যা বাংলাদেশি টাকায় সোয়া ২৭ হাজার কোটি। সেই বিশাল বাজারে এখনো বাংলাদেশের উপস্থিতি নেই বললেই চলে, অথচ এই দেশে আছে প্রচুর কাঁচামাল, দক্ষ উদ্যোক্তা এবং বিপুল সম্ভাবনা।
কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মতে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী অঞ্চলের উদ্যোক্তারা যদি এইভাবে আম প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি বাজার ধরতে পারেন, তাহলে শুধু কর্মসংস্থানই বাড়বে না, বাড়বে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনও।